রকেট ইলন: কিভাবে টেসলার চমকপ্রদ কর্মকর্তা ফোর্বসের ২০২১ সালের ধনকুবেরের তালিকায় দ্বিতীয় ধনী হয়ে উঠল?

Shagatom Chakma

২০২০ সাল পৃথিবীর ধনকুবেরদের সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য বছর হলেও, কারোর ইলন মাস্কের চেয়ে সাফল্যর বছর ছিল না। টেসলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দৌলত অভূতপূর্ব পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তাকে নিট সম্পত্তি  ১৫১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ফোর্বসের ২০২১ সালের বিশ্বের ধনকুবেরের তালিকায় দ্বিতীয় ধনাঢ্য ব্যাক্তি বানিয়েছে ।( ফোর্বস মার্চ ৫ তারিখ হতে স্টক মূল্য ব্যবহার করেছে)

টেসলার শেয়ার গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৮ মার্চ ২০২০ সালে আশ্চর্যজনকভাবে মাস্কে’র মোট সম্পত্তির মূল্য ১২৬.৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় । যা গত বছরের তালিকায় ২৪.৬ বিলিয়ন ডলার নিট সম্পত্তি মূল্যর ইলন মাস্ককে ডলারের ক্ষেত্রে ২০২১ সালের র‍্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় অর্জনকারী বানিয়েছে। শতাংশের ক্ষেত্রে, তিনি একবছরের তুলনায় ৫০০% এর বেশি ধনী।

ইলন মাস্কের ভাগ্যের ঢেউ প্রাথমিকভাবে টেসলার শেয়ারের উত্থানে অপবাহিত হয়, যা গত বছরের তালিকা থেকে ৩০০% এর বেশী, এমনকি জানুয়ারী ২০২১ এর প্রতি শেয়ার সর্বোচ্চ ৯০০ ডলার দামে ৩২% শেয়ার কমে যাওয়া মূল্য হিসাব করার পরেও । নতুন যানবাহন প্রবর্তন, ডেলিভারি বৃদ্ধি এবং বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার পরাজয় করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের উপর বিজয় অব্যাহত রেখেছে। ডিসেম্বরে টেসলা এস এন্ড পি ৫০০ সূচকে যুক্ত হয়েছিল।

মাস্ক টেসলার ২১% মূলধন থেকে তার ভাগ্যর বোঝা চালিত করেছে। তার প্রায় ১৪৭ মিলিয়ন শেয়ার এবং ৫৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার অপশন রয়েছে। নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ের অনুসারে, যেহেতু টেসলা ২০২০ এর দশকে বিভিন্ন মাইলফলক অর্জন করেছে, ফলে মাস্ক কয়েকটি বিনিয়োগের উপায় লাভ করে যার প্রতিটি কয়েক কোটি ডলার মূল্যের। 

মাস্কে’র দ্বিতীয় বৃহত্তম উদ্যোগ স্পেসএক্সও সাফল্য লাভ করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে ব্যাক্তিগত স্পেস এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি যাত্রা শুরু করে যা ২০১১ সালের পরে আমেরিকার  প্রথম মনুষ্যবাহী কক্ষপথ মিশন। স্পেসএক্স নভেম্বরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পর্যন্ত মহাকাশচারী শাটলিং শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে, রকেট কোম্পানিটি আরো এক দফা অর্থায়নের কাজ সম্পন্ন করেছে, কোম্পানিটি ৮৫০ মিলিয়ন ডলার উত্তোলন করে মূল্যমান ৭৪ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে যা মূল্যমানে আগস্ট ২০২০ সালের ৪৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বেশি। ফোর্বস অনুমান করছে যে স্পেসএক্সে মাস্কের ৪৮% শেয়ার মূলধনের বর্তমান মূল্যে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার।

২০২০ সাল মাস্কের জন্য কৃতিত্বের একটি বছর, সে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গকে ছাড়িয়ে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যাক্তি হয়, তারপর সে ধনকুবেরের তালিকায় তিন নম্বর অবস্থানের জন্য মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে (যার নিট সম্পত্তি মূল্যে ১২৪ বিলিয়ন ডলার) অতিক্রম করে। এক মাস পরে, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যাক্তি হওয়ার জন্য ফ্রান্সের বিলাসী পুঁজিপতি বার্নার্ড আর্নল্টকে ( যার নিট সম্পত্তি মূল্য ১৫০ বিলিয়ন ডলার) ছাড়িয়ে যায়।

২০২১ সালের জানুয়ারীর শুরুর দিকে ইলন মাস্ক আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোসকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি হিসেবে তুলে ধরে, যেহেতু তার নিট সম্পত্তির মূল্যে প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছায়। ফোর্বসের অনুসারে, ২০২১ সালের ৫ মার্চ নিট মুল্য ১৭৭ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বেজোস বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি হওয়ার শিরোনামটি পুনরায় অর্জন করে।  

ফোর্বস থেকে অনূদিত

অনুবাদ: স্বাগতম চাকমা

মূল লেখা: https://www.forbes.com/sites/sergeiklebnikov/2021/04/06/rocket-elon-how-teslas-eccentric-boss-became-the-number-two-richest-on-forbes-2021-billionaires-list/?sh=540cb78c56b7

 296 total views,  2 views today

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *